অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে আগে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছিল ইংল্যান্ড। তবে দুই ক্রিকেট বোর্ডের ফলপ্রসূ আলোচনায় ওই সফরে সূচিতে থাকা দুটি টি-টোয়ন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালে।
সূচি অনুযায়ী আগামী বছর পাকিস্তানে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। তবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করেছে, আগের দুটি ম্যাচ মিলিয়ে এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে মোট সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ইয়ন মরগ্যানরা।
গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ম্যাচের আগ মুহূর্তে ‘নিরাপত্তা অজুহাতে’ নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাতিল করে দেয়। কদিন পরে ‘বায়ো-বাবল ক্লান্তির’ অজুহাত দিয়ে সিরিজ বাতিল করে ইংল্যান্ডও। যেই সিরিজে বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের।
গতকাল পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান রমিজ রাজার সঙ্গে এক বৈঠক শেষে ইসিবি প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন বলেছেন, ‘আমি ও ইসিবির জ্যেষ্ঠ পরিচালক মার্টিন ডার্লো লাহোরে গিয়েছিলাম পিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অক্টোবরে বাতিল হওয়া সিরিজের ব্যাপারে কথবার্তা বলতে।
আমাদের দুই বোর্ডের মধ্যে যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে, সেটা আরও জোরদার করাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।’ এদিকে, ইংল্যান্ড দুটি ম্যাচ বেশি খেলতে রাজি হয়েছে বলে ইসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রমিজ রাজা, ‘ইসিবি এখানে প্রমাণ করেছে, তাদের হৃদয় কতটা বড়। টম ও মার্টিনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড এই সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপপর্ব শেষ করে ইংল্যান্ড আবার পাকিস্তানে আসবে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। যে টেস্টগুলো আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত।
নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের টানা দুটি সিরিজ বাতিল হওয়ার পর আবার আগামী বছর ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে আতিথেয়তা দেয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে পিসিবি। স্বভাবতই সিরিজগুলো নিশ্চিত হওয়ায় বেশ খুশি পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ।
তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ প্রমাণ করতে আমরা কত চেষ্টাই না করেছি। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে স্বাগত জানাতে আমাদের দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।’